প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৮
হাজীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখেই পালিয়েছে দন্ত চিকিৎসক দম্পতি
বি ডি এ দাবীদার কথিত দন্ত চিকিৎসক দম্পতি ভ্রাম্যমান দেখেই পালিয়েছে। এ সময় চেম্বারে বসা রোগী ও ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিকে চেম্বারে বসিয়ে রেখেই সটকে পড়েন কথিত ডা: বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ডা: পেয়ারা বিল্লাল। পরে ভ্রাম্যমান আদালত চেম্বারটি সিলগালা করে দেয় । বুধবার (২৫ জানুয়ারী) হাজীগঞ্জ বাজারে এই আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান মানিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: গোলাম মাওলা। একই দিন একই আদালত হাজীগঞ্জ বাজারের ৫ টি হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ১ লাখ ৮০ হাজার জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেগ এ দিন হাজীগঞ্জ বাজারের বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে জরিমানা আরোপ ও আদায় করে। এ সময় হাজীগঞ্জ বাজারের বহু পুরনো " ডেন্টাল কেয়ার" এর মালিক কথিত দন্ত চিকিসক দম্পতি ডা: বিল্লাল হোসেন ও ডা: পেয়ারা বিল্লালের চেম্বার ভ্রাম্যমান আদালত উপস্থিত হওয়ার আগে মুহুর্তে রোগী ও ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিকে চেম্বারে বসিয়ে রেখে চেম্বার থেকে সটকে পড়েন এই দম্পতি।
ভ্রাম্যমান আদালত মুঠোফোনে বাবার কথিত দন্ত এই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হলে আদালত চেম্বারটি সিলগালা করে দেয়।
এ সময় আদালত এই কথিত চিকিৎসক দম্পতির প্রেসক্রিপশন, ভিজিটিং কার্ড, দন্ত রোগীর পরামর্শের লিফলেটের নমুনা জব্দ করেন।
এর আগে একই দিন সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুরের পর পর্যন্ত ৫ টি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে ১ লাখ ৯০ টাকা জরিমানা আদায়।
জরিমানা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো হলে, পপুলার ল্যাব এন্ড জেনারেল হাসপাতাল ৫০ হাজার টাকা, ভিআইপি হাসপিটাল ৪০ হাজার টাকা, নিশাত হাসপাতাল ৪০ হাজার টাকা, আল রাজী ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে ৫০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদি হাসান মানিক জানান, ডেন্টাল কেয়ারকে সিলগালা করা হয়েছে। সে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারলে তা খুৃলে দেয়া হবে। অপর এক প্রম্নে আদালত জানায়, অব্যস্থপনার দায়ে বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) ভিন্ন দুটি ভ্রাম্যমান আদালত ভিন্নভাবে হাজীগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১৪ টি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে সোয়া ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও এইচ জি হেলথ সেন্টারকে সিলহালা করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: আবু ছাইদ মোস্তফা, উপজেলা স্যানেটারী কর্মকর্তা শামছুল ইসলাম রমিজ।